ঢাকা,শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪

চকরিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী গিয়াস স্বশিক্ষিত সাঈদী উচ্চ মাধ্যমিক

আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী এবং বিদ্রোহী প্রার্থী ফজলুল করিম সাঈদী

নিজস্ব প্রতিবেদক, চকরিয়া ::

কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে আওয়ামী লীগের একক প্রার্থী গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী ও বিদ্রোহী প্রার্থী ফজলুল করিম সাঈদীর মধ্যে। গিয়াস উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সাঈদী সহসভাপতি। নির্বাচনের মাঠে দুজনই ব্যাপক প্রচারণা চালাচ্ছেন। যাচ্ছেন ভোটারদের দ্বারে দ্বারে। এই দুই প্রার্থীকে নিয়ে উত্তাপ রয়েছে ভোটারদের মাঝেও।

এদিকে নির্বাচন কমিশনে দাখিল করা হলফনামা ঘেঁটে জানা যায়, আওয়ামী লীগের প্রার্থী গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী স্বশিক্ষিত। আর ফজলুল করিম সাঈদীর শিক্ষাগত যোগ্যতা উচ্চ মাধ্যমিক।

অপরদিকে হলফনামায় নিজেদের দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে দেখা গেছে, গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী অঢেল সম্পদের মালিক। তিনি অস্থাবর সম্পদ দেখিয়েছেন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা ১ লাখ ২৫ হাজার টাকা, কম্পানির শেয়ার ১ লাখ ৪৪ হাজার টাকা, সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ ৬৬ হাজার টাকা, স্ত্রীর নামে কোনো অলঙ্কার না থাকলেও নিজের নামে রয়েছে ৫ হাজার টাকা মূল্যের অলঙ্কার, মাত্র ৩ হাজার টাকা সমমূল্যের আসবাবপত্র এবং অন্যান্য খাতে ১ লাখ ৫৬৫০ টাকার সম্পদ। নিজের বা নির্ভরশীলদের কারো ইলেকট্রিক সামগ্রী নেই। স্ত্রী বা নির্ভরশীলদের কোনো সম্পদ নেই। স্থাবর সম্পদের মধ্যে রয়েছে, ৭ লাখ ৫১ হাজার টাকা মূল্যের কৃষিজমি, ৩০ লাখ ১০ হাজার টাকা মূল্যের অকৃষি জমি, ৪৯ লাখ ১৫ হাজার ৬৮২ টাকা মূল্যের আবাসিক ও বাণিজ্যিক দালান এবং বাড়ি/অ্যাপার্টমেন্ট। স্থাবর সম্পদের মধ্যেও স্ত্রী বা নির্ভরশীলদের কোনো সম্পদ নেই।

তবে গিয়াসের কাছের লোকজনের দাবি, তিনি দীর্ঘদিন ধরে বিলাসবহুল একাধিক গাড়ি ব্যবহার করে আসছেন। রয়েছে একাধিক পিকআপ ও ডাম্পার গাড়ি। ছেলের নামে আইয়ুব চৌধুরী ফিলিং স্টেশনসহ বহু সহায়-সম্পদের মালিকানা। মামলার বিবরণীতে ইট পোড়ানো নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলাটিতে গিয়াস ৬ মাসের কারাদণ্ডপ্রাপ্ত ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন আদালত। মামলাটি বিচারাধীন বলে দেখানো হয়েছে। তবে নিম্ন আদালতের সাজাপ্রাপ্তের বিষয়টি উল্লেখ করেননি তিনি। বান্দরবানের আরেকটি মামলা তাঁর নামে বিচারাধীন। তাঁর হাতে নগদ রয়েছে ১০ লক্ষ টাকা। ব্রিকফিল্ড, পাথর, লট অকশনের ব্যবসা করেন। এতে বার্ষিক আয় ১৬ লাখ ১১ হাজার আটশত টাকা। এককভাবে এনসিসি ব্যাংক থেকে ৫ লাখ ৫৮ হাজার ১৮২ হাজার টাকার নেওয়া ঋণ নিয়মিত রয়েছে। অপরদিকে সাঈদীর বার্ষিক আয় ২ লাখ ৯০ হাজার। তিনি ইট, কংকর ও বালি সাপ্লাইয়ার।

ফজলুল করিম সাঈদীর বিরুদ্ধে দ্রুত বিচার আইনে দুটিসহ ছয়টি মামলা আছে। দ্রুত বিচার আইনের একটি প্রত্যাহার ও অপরটিতে অব্যাহতি পেয়েছেন, অন্যগুলো বিচারাধীন। সাঈদীর অস্থাবর সম্পদ রয়েছে নগদ ১ লাখ টাকা ও স্ত্রীর নামে ২০ হাজার টাকা, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা ৩ লাখ টাকা, স্ত্রীর নামে ১৬ তোলা অলঙ্কার, ২০ হাজার টাকার ইলেকট্রনিক সামগ্রী, ১০ হাজার টাকার আসবাবপত্র। স্থাবর সম্পদ রয়েছে, ৮০ শতক কৃষি জমি, ২০ শতক অকৃষি জমি, চাবাগান, রাবারবাগান, মৎস্য খামারে তাঁর ২৫ একর পৈতৃক সম্পত্তি সম্পদ রয়েছে। তবে নিজের কোনো গাড়ি নেই।

হলফনামায় গিয়াসের অস্থাবর সম্পদের মধ্যে রয়েছে, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা ১ লাখ ২৫ হাজার টাকা, কম্পানির শেয়ার ১ লাখ ৪৪ হাজার টাকা, সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ ৬৬ হাজার টাকা, স্ত্রীর নামে কোনো অলঙ্কার না থাকলেও নিজের নামে রয়েছে ৫ হাজার টাকা মূল্যের অলঙ্কার, মাত্র ৩ হাজার টাকা সমমূল্যের আসবাবপত্র, অন্যান্য খাতে ১ লাখ ৫ হাজার ৬৫০ টাকার সম্পদ রয়েছে। এমনকি নিজের বা নির্ভরশীলদের কারো ইলেকট্রনিক সামগ্রী নেই। স্ত্রী বা নির্ভরশীলদের কোনো সম্পদ নেই বলে হলফনামায় উল্লেখ করেছে।

গিয়াস উদ্দিনের স্থাবর সম্পদের মধ্যে রয়েছে, ৭ লাখ ৫১ হাজার টাকা মূল্যের কৃষি জমি, ৩০ লাখ ১০ হাজার টাকা মূল্যের অকৃষি জমি, ৪৯ লাখ ১৫ হাজার ৬৮২ টাকা মূল্যের আবাসিক ও বাণিজ্যিক দালান এবং বাড়ি/অ্যাপার্টমেন্ট। স্থাবর সম্পদের মধ্যেও স্ত্রী বা নির্ভরশীলদের কোনো সম্পদ নেই।

আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ফজলুল করিম সাঈদী হলফনামায় অস্থাবর সম্পদ উল্লেখ করেছেন, নগদ ১ লাখ টাকা ও স্ত্রীর নামে ২০ হাজার টাকা, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা ৩ লাখ টাকা, স্ত্রীর নামে ১৬ তোলা অলঙ্কার, ২০ হাজার টাকার ইলেকট্রিক সামগ্রী, ১০ হাজার টাকার আসবাবপত্র রয়েছে। ফজলুল করিমের স্থাবর সম্পদ রয়েছে, ৮০ শতক কৃষি জমি, ২০ শতক অকৃষি জমি, চাবাগান, রাবারবাগান, মৎস্য খামারে তাঁর ২৫ একর পৈতৃক সম্পত্তি সম্পদ রয়েছে।

পাঠকের মতামত: